সি পি আই এম তার সমস্ত মতাদর্শ বিসর্জন দিয়ে কংগ্রেস দলের সাথে হাত মিলিয়ে মমতা হটাও যুদ্ধে নেমেছে আর হাত মিলিয়েছে পুঁজিবাদী সামান্ততান্ত্রিক দলের সাথে ।
অধীর চৌধুরী আর কংগ্রেস দল কে নিয়ে জনগণের ফ্রন্ট গড়ে মমতা ব্যানারজি বিরুদ্ধে লড়াই করবেন । আর মমতা তার পরিবর্তনের জায়গায় মমতা নিয়ে এলো সি পি এম শাসনের ধারাবাহিকতা
বাংলার মানুষ কেন ভাববেন না বিকল্প পথের কথা
শ্যামাপ্রসাদ মুখারজি চিন্তা ভাবনা সারা ভারতের জনগণ এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত এর পথে এগিয়ে চলেছ নরেন্দ্র মোদী এর নেতৃত্বে তখন আমরা কি দিশাহীন হয়ে কংগ্রেস , সি পি এম , তৃনমূল কংগ্রেস
মধ্যে আমরা ঘোরাঘুরি করব না ভাবব
মালদহ জেলায় তৃণমুল কোনদিন দাঁত ফোটাতে পারেনি । এবার সি পি এম ও কংগ্রেসের মাঝে পরে তিন চার নম্বরে নেমে আসবে বলে মমতা ব্যানারজ্জি মালদহের সভা থেকে গনি খানের বাম বিরোধী ভাবনাকে উস্কে দিলেন মমতা । তাই তিনি বললেন " আপনারা তৃনমূলের সাথে আসুন , কারন আমরা আসল কংগ্রেস । " হাজার পাঁচ লোকের সা মনে । কংগ্রেসের নিচু তলা কে টানতে তিনি বলেন " আপনারা যারা অতীতে বাম আমলে দিনের পর দিন মার খেয়েছেন ,তারা জানেন ,সি পি এম কোথাও আক্রমণ করলে সবার আগে আমি ছুটে এসেছি । এখন সেই সি পি এমের সঙ্গে জোট আপনারা মন থেকে মানতে পারবেন ।
কানাহাইয়া ভারতের তরুণ প্রজন্মের ছাত্রনেতা বিশেষতঃ জে এন ইউ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা কে কেন্দ্র করে তার সম্পর্কে আগ্রহ বাড়ছে । নির্বাচনী প্রচারে তাকে কাজে লাগাতে মরিয়া সি পি আই এম , সি পি আই । তবে পশ্চিম বঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে মার্কসবাদ , সমাজতন্ত্রের পক্ষে কতটা বলতে পারবেন আমার অন্ততঃ সন্দেহ আছে কারন সমাজ বিজ্ঞানে মার্কস লেনিনের মতাদর্শ একটি অধ্যায় মাত্র । সোভিয়েত ইউনিয়ন ও পূর্ব ইউরোপের ঘটনাবলী চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে এই মতাদর্শের সীমাবদ্ধতা ও ব্যর্থতা ।
দেশদ্রোহের মামলা তে জেলে যাবার পর সি পি আই এর ছাত্র নেতা কানাহাইয়া কে কেন্দ্র করে যে আগ্রহ তৈরি হয়েছে তার বক্তব্যের ধারে । এই বক্তব্য শোনার পরেই সীতারাম ইয়েচুরি বলে ফেলেন পশ্চিম বঙ্গের নির্বাচনে প্রচারে এ আই এস এফ নেতা কানাহাইয়া কে প্রচারে নামানো হবে । আর কানাহাইয়া বললে সে পশ্চিম বঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে যাবেন ।
এখন অবশ্য সে বলছে " আমি আগেও বলেছি ,মুল ধারার রাজনীতি আমার জন্য নয় , আমি ছাত্র । পি এইচ ডি করে আমি শিক্ষকতা করতে চাই ।"
এক্ষেত্রে সি পি আই এম যে ভাবে কানাহাইয়া কে আঁকড়ে ধরতে চাইছে তা ভাল চোখে সি পি আই নিচ্ছে না । হায়দরাবাদে দলের জাতীয় পরিষদে সিদ্ধান্ত হয়েছে তাকে এখনই রাজনীতির মুল স্রোতে না নিয়ে গিয়ে তাকে ছাত্র আন্দোলনে বেধে রাখতে চাই দল ।
এক সি পি আই নেতার মতে " কানাহাইয়া উঠতি নেতা । তাকে রাজনীতির ময়দানে খরচ না করে বিভিন্ন রাজ্যে ছাত্র আন্দোলন ও সমর্থন বাড়াতে ব্যবহার করা হবে । এতেই দলের লাভ ।"